৩য় জাতীয় এসএমই মেলা-২০১৪

এমএমই ফাউন্ডেশন বিগত বছরের ধারাবাহিকতায় তৃতীয়বার জাতীয় এসএমই মেলার আয়োজন করে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র চত্বরে আয়োজিত পাঁচদিন ব্যাপী (০৪ থেকে ০৮ এপ্রিল, ২০১৪) এই জাতীয় এসএমই মেলা অত্যন্ত সফল হয়।

মাননীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব আমির হোসেন আমু গত ৪ এপ্রিল সকালে এবারের ৩য় জাতীয় এসএমই মেলার প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মোহাম্মাদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ ইহসানুল করিম। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, এসএমই ফাউন্ডেশনের সন্মানিত বোর্ড সদস্যবৃন্দ, ফাউন্ডেশনের জেনারেল বডির সদস্যবৃন্দ, বিসিক, বিটাক, নাসিব, বিসিএসআইআর, বিভিন্ন এসোসিয়েশন -ট্রেডবডির প্রতিনিধিবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং দেশের সফল উদ্যোক্তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মাননীয় শিল্পমন্ত্রী জনাব আমির হোসেন আমু একটি শিল্পসমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সংশ্লিষ্ট সকলকে এই মহৎ উদ্দেশ্য সাধনে আরো আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র চত্বরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে মাননীয় মন্ত্রী এবং শিল্পমন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী মেলার প্রথমদিনে, বিকালেই এসএমই মেলা পরিদর্শন করেছেন।

এসএমই ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে খুব সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মেলায় মোট বিক্রি হয়েছে এক কোটি ২০ লাখ টাকার এসএমই পণ্য। রাজধানীর বিভিন্ন বড় বড় মার্কেটের ব্যবসায়ীরা মেলায় আগত এসএমই উদ্যোক্তাদের পণ্য কেনার জন্য অগ্রিম অর্ডার দিয়েছেন আরো প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ টাকার। গতবছর, অর্থাৎ ২য় জাতীয় মেলায় মোট বিক্রি হয়েছিল ৪৮ লাখ ১১ হাজার টাকার এসএমই পণ্য এবং অর্ডার পাওয়া গিয়েছিল আরো ৭১ লাখ ৬৯ হাজার টাকার।

এবারের মেলায় ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, প্লাস্টিক ও অন্যান্য সিনথেটিক্স, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যারসহ অন্যান্য সেক্টরের পণ্য প্রদর্শন ও কেনাবেচা হয়েছে। মেলায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা এসএমই প্রতিষ্ঠানের ১৫০ টি স্টল স্থান পায়। উল্লেখ্য, জাতীয় এসএমই মেলায় কোন ব্যবসায়ীকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয় না, কেবলমাত্র দেশের এসএমই উদ্যোক্তারের উৎপাদিত পণ্যের বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যেই এসএমই উদ্যোক্তার অংশগ্রহণের মাধ্যমে ফাউন্ডেশন প্রতিবছর এই আয়োজন করে আসছে।
প্রতিবারের মতো এইসএমই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০:০০ টা থেকে রাত ৮:০০ টা পর্যন্ত (বিনা টিকিটে) সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। মেলার শেষ দিনে দর্শণার্থী এবং ক্রেতাদের অনুরোধে মেলার সময়সীমা একঘন্টা বৃদ্ধি করে রাত ৯টা পর্যন্ত চালু রাখা হয়। এবারের মেলার দ্বিতীয় দিনেই কয়েকজন উদ্যোক্তার সকল এসএমই পণ্য বিক্রি হয়ে যায়। শুরু থেকে শেষ সময় পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ ক্রেতা সমাগমে প্রাণবন্ত ছিল।

যে সকল পণ্য এই মেলায় প্রদর্শন এবং বিক্রি হয়েছেঃ চামড়াজাত সামগ্রী, হস্তশিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হারবাল প্রোডাক্টস, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যার। এছাড়াও, এসএমই উদ্যোক্তার তৈরীকৃত লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এবং পাহাড়ী পণ্যসহ হরেক রকম পণ্যের সমাহার ঘটেছিল।